রাজশাহী জিরো পয়েন্ট থেকে রিক্সা বা অটোতে যাওয়া যায়।
দিঘাপাতিয়ার জমিদার রাজা প্রমদা নাথ রায়ের দানকৃত জমিতে কাশিমপুরের জমিদার রায় বাহাদুর কেদার নাথ প্রসন্ন লাহিড়ী কতৃক স্থাপিত বর্তমান ভবনে গ্রন্থাগারটি ১৮৮৪ সালে আনুষ্ঠানেকভাবে যাত্রা শুরু করলেও প্রকৃত সূচনাকাল আরো আগের। রাজশাহী নগরীর মিয়াপাড়ায় অবস্থিত বলে এটিকে ‘মিয়াপাড়া সাধারণ গ্রন্থাগার’ বলেই চেনে অনেকে। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রানী ভবানীর বংশধর রাজা আনন্দনাথ। ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা হয় এ গ্রন্থাগার। তবে এর আগে ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত ডাব্লিউ ডাব্লিউ হান্টারের স্ট্যাটিস্টিক্যাল এ্যাকাউন্ট বইতে এই লাইব্রেরির কথা বলা হয়েছে। ১৮৮৪ সালে ভবন এবং জমি পাওয়ার পর এই লাইব্রেরিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। হান্টারের দেয়া তথ্য মতে ১৮৭১-৭২ সালে এই লাইব্রেরিতে বই ছিল মাত্র ৩ হাজার ২৪৭টি এবং সাময়িকী ছিল ছয়টি। এ সময় পাঠক ছিল নয়জন। এর মধ্যে ছয়জন ছিল ইংরেজ। রাজা আনন্দ রায়ের পরে তাঁর ছেলে রাজা চন্দ্র রায় বছরে ২০ পাউন্ড বা ২০০ টাকা অনুদান দিতেন। এর মধ্যে পুরাতন বাস স্ট্যান্ডের কাশিমপুর হাউসে এক সময় ছিল এই গ্রন্থাগার। দিঘাপতিয়ার রাজা প্রমদা নাথ রায়ের দান করা বর্তমান ভবনে মিয়াপাড়ায় গ্রন্থাগারটি স্থানান্তিরত হয়। তার চার ছেলে রাজা প্রমদনাথ রায়, কুমার বসন্ত কুমার রায়, কুমার শরৎ কুমার রায়, কুমার হেমন্ত কুমার রায় এবং মেয়ে রাজকুমারী ইন্দুপ্রভা রায় রাজশাহীর অন্য প্রতিষ্ঠানের মতো এই লাইব্রেরিতেও বিভিন্নভাবে সহায়তা দিতেন। আগে জেলা প্রশাসন, রাজশাহী এ্যাসোসিয়েশন এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে নিয়মিত অনুদান পাওয়া যেত। এখন শুধু জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে বছরে অনুদান পাওয়া যায় ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে বই হিসেবে দেয়া হয় ৩০ হাজার টাকা এবং নগদ অনুদান পাওয়া যায় ৩০ হাজার টাকা।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS